বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ অপরাহ্ন
ডেক্স নিউজ – ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর কাছে নিজেদের পরিচয় দেয়ার পরেও র্যাব ১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার ৩ সদস্য ও ২ সোর্সকে ধরে নিয়ে যায় তারা । কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ি সীমান্ত থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘন্টা পর গুরতর আহত অবস্থায় ফেরত দেয় বিএসএফ।তাদের উপড় নির্যাতণের চিহ্ন স্পষ্ট ।
আর এই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে । সীমান্তের উক্ত ২০৫৯নং পিলারের ১০ নম্বর গেট থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় তাদের বিএসএফ । আটককৃরা হলেন , কনস্টেবল রিদান বড়ুয়া, আবদুল মজিদ ও সৈনিক মো: ওয়াহিদ। র্যাবের সঙ্গে থাকা ২ নারী সোর্স হলেন, কুমিল্লার শুভপুরের জাকির হোসেনেরে স্ত্রী লিজা আক্তার ফুফি, সুজানগরের মাইনুদ্দিনের স্ত্রী মনি বেগম। পরে বিকাল ৫টায় ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উর্দ্বতন কর্মকর্তা ও বিএসএফের মধ্যে এক ঘণ্টা পতাকা বৈঠকের পর আটক ৩ র্যাব সদস্য ও ২ নারী সোর্সকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। র্যাব সদস্যদের কাছে থাকা একটি পি’স্তল, ১টি ম্যাগজিন, আট রা’উন্ড গু’লি, দুটি হাতকড়া ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তবে হস্তান্তরের সময় তাদের অবস্থা আশঙ্গকাজনক ছিল ।
বিজিবির সংকুচাইল ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল ইসলাম জানান, আশাবাড়ি ভারতীয় অংশে বাড়ি দুলা মিয়ার ছেলে আবুল খায়েরকে আটক করতে যায় র্যাব ১১’র একটি টিম।ওই বাড়িটি নো-ম্যানস ল্যন্ডের ১ শ গজের বাইরে ভারতীয় অংশে। আবুল খায়েরকে আটক করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় ভারতীয় লোকজন র্যাব সদস্যদের আটক করে বিএসএফকে খবর দেয়। র্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তারা খবর দ্রুত বিজিবিকে জানালে এই ঘটনার সমাপ্তি ঘটে ।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছে যে এই ঘটনাটি হতে পারে র্যাব সহ আইন-শৃঙ্গখলা বাহিনীর উপড় একটা চ্যালেঞ্জ । সু-কৌশলেই তাদের ভারতীয় অঙ্গশে প্রবেশ করানো হয় । সেখানে উতপেতে থাকা মাদক কারবারীরাই তাদের আক্রমন-নির্যাতন করে বি আস এফ এর কাছে তুলে দেয় বলে তারা মনে করেন । ভবিষ্যতে শৃঙ্গখলা বাহিনীকে সতর্ক থেকে অভিযান এবং ভারতের কাছে তারা এই নির্যাতনের ব্যখ্যা দাবী করার পরামর্শ দেন ।